টি২০ বিশ্বকাপের আগে বিসিবি খুজে পেলো বলে বলে ছক্কা হাকনো বাংলার রোহিত শর্মাকে
বাবা-চাচাদের ক্রিকেট খেলা দেখে বড় হয়েছেন তিনি। বাবা জাহাঙ্গীর আলম ও চাচা জুয়েল হোসেন মনা দুজনই বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠ মাতিয়েছিলেন। আরেক চাচা সোহেল হোসেন পাপ্পু জাতীয় দলে সুযোগ না পেলেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন। এমন পরিবারের সন্তানের ক্রিকেটার না হয়ে উপায় আছে! বাবা-চাচাদের দেখেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বুনে নেন হৃদয়ে। তাই তো একদম ছোট্টবেলায় নারায়ণঞ্জ ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতেই ক্রিকেটের হাতেখড়ি হয়ে যায় এই ওপেনারের। কথা বলছি বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে মাঠ কাপানো জিসান আলমের। ওপেনিংয়ে নেমেই শুরু থেকে ভয়ডরহীন ভাবে কব্জির জোড়ে বড় বড় ছক্কা হাকানোর সামর্থ্য থাকায় অনেকে আবার তাকে ডাকেন বাংলার রোহিত শর্মা বলে। রোহিতের স্টাইল যেনো ফলো করে বড় হয়েছেন তিনি। রোহিতের মত ব্যাটিং স্টাইল, রোহিতের মত শুরু থেকে দ্রুত গতিতে রান তোলার অভ্যাস, সবই যেনো কানায় কানায় পূর্ন জিসান আলমের ভিতরে। ওয়ানডে ম্যাচকে যেনো টি২০ বানিয়ে খেলা তার অভ্যাস। যখনই ব্যাটিং করে স্টাইক রেট থাকে ১২০ এর উপরে। খেলেছেন অনুর্ধ্ব ১৪ থেকে শুরু করে অনুর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে। শেষ অনুর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে শিরোপা জয়ের অন্যতম কারিগড়ও ছিলেন তিনি। শেষ অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে অপেনিংও করেছেন তিনি। সেখানে ৩ ম্যাচে প্রায় ৩০ গড়ে তার রান ছিল ৮৮ যার মধ্যে ছিল ১টি অর্ধশত রানও। তবে বিশ্বকাপে তিনি সবার নজড় কেড়ে ছিলেন তার স্ট্রাইক রেট দিয়ে। ৩ ম্যাচে ব্যাটিং করেছেন ১২২ স্ট্রাইক রেটে। শুধু সেখানেই থেমে থাকেননি তিনি। এবার ডিপিএলের ম্যাচ গুলোতে শুরু থেকেই দাপটের সাথে খেলে যাচ্ছেন জিসান। ডিপিএলে শাহিনপুকুরের হয়ে খেলেছেন ১০্টি ম্যাচ। করেছেন ৩৪ গড়ে ৩০৭ রান। কিন্তু এখানেও সবার দৃষ্টি জিসানের স্ট্রাইক রেটে। এবার যেন ওয়ানডে ফরম্যাটের ডিপিএলকে টি২০ মনে করে বসে আছেন জিসান আলম। ১৩৭ স্ট্রাইক রেটে বোলারদের করেছেন তুলধুন। যেখানে ছিল দুটি অর্ধশতক। রুপগঞ্জ টাইগার্স ক্লাব আর শাহিনপুকুরের ম্যাচে তো ঘটিয়েছেন অবিশ্বাস্য কান্ড। জিসান আলম নিয়মিত ডিপিএলে খেললেও তার খেলা মাঠে বসে দেখা হয়নি বাবা জাহাঙ্গীর আলমের। তাই বাবা জাহাঙ্গীর আলমকে সেই ম্যাচ মাঠে বসে দেখার অনুরোধ করেছিল ছেলে জিসান আলম। তবে বাবা জাগাঙ্গীর আলম মাঠে গেলেও দেখা হয়নি আঙ্কখিত জিসান আলমে ব্যাটিং । কারণ সেদিন রুপগঞ্জ আগে ব্যাটিং করে শাহিনপুকুরকে টার্গেত দিয়েছিল মাত্র ১১০ রানের। সেই টার্গেট জিসান আলমের ব্যাটিং তান্ডবে শাহিনপুকুর মাত্র ৯ ওভারেই টপকে যায়। বাবা মাঠে আসার আগেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। মাত্র ২৮ বলে ৪টি চার ও ৬টি ছক্কা হাকিয়ে করেন ৫৮ রান। শুধু তাই নয় বৃহঃপ্রতিবার বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগের ম্যাচে শেখ জামালের বিপক্ষে ডানহাতি এই ওপেনার করেন ৬১ বলে ৯৮ রান। গুনে গুনে হাকান ৮টি করে চার ও ৮টি ছক্কা। তবে বড় আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। মাত্র ২ রানের জন্য মিস করেন লিস্ট 'এ' ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরি। এখন কথা হলো বাংলাদেশ কি খুজে পাবে তামিম লিটনের উত্তরসূরি। সেই উত্তরটা না হয় ছেড়ে দেওয়া যাক সময়ের কাছেই ।
Comments
Post a Comment