আবার ও সাকিবকে নিয়ে দ্বিধায় পড়ল বিসিবি

পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজ খেলতে ১৬ আগস্ট দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল।

কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট চরম পরিস্থিতির কারণে সময়মতো অনুশীলন শুরু করা যায়নি। দেরিতে হলেও অবশেষে চট্টগ্রামে জাতীয় ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরের প্রস্তুতি চলছে ঠিকমতই।

গত শুক্রবার শেষ হয়েছে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। বিসিবি লাল ও সবুজ দলের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচে শতরান (১৮৩ বলে ১৫ বাউন্ডারিতে ১২৩ রান) করেছেন মুমিনুল হক। উভয় ইনিংসে (৫০ ও ৪৮) রান পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম।

পাকিস্তান সফরের আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টাইগাররা আরও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। সেটি হবে ৩ দিনের। আগামী পরশু ২৯ জুলাই শুরু হবে সে ৩ দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। শেষ হবে ৩১ জুলাই। তারপর ২ দিনের বিশ্রাম। ৩ আগষ্ট থেকে জাতীয় দলের অনুশীলন শুরু ঢাকায়।

বলে রাখা ভালো, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এলপিএল খেলে শ্রীলঙ্কা থেকে দেশে ফিরেছেন তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তাওহিদ হৃদয়। শরিফুল ইসলাম টুর্নামেন্টের মাঝপথে দেশে ফিরলেও কয়েকদিন পর আবার পাড়ি জমিয়েছেন কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলতে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেট ও কানাডার গ্লোবাল টুর্নামেন্টে ব্যস্ত থাকা সাকিব আল হাসান খুব স্বাভাবিকভাবেই এখন জাতীয় দলের সঙ্গে নেই।

আগেই জানা, দেশসেরা তারকা সাকিব সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডা পাড়ি জমিয়েছেন আগেই। কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে সাকিব আর শরিফুল দুই জনই বাংলা টাইগার্স দলের হয়ে খেলছেন।

খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে সাকিব আর শরিফুল দেশে ফিরবেন কবে? তারা কি পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে আদৌ জাতীয় দলের অনুশীলনে যোগ দিতে পারবেন?

কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলতে সাকিবের অনাপত্তিপত্র ১২ আগস্ট পর্যন্ত। এদিকে টেস্ট সিরিজের আগে প্রস্তুতি ভালো করার জন্য ‘এ’ দলের সঙ্গে পাকিস্তানে যেতে পারেন মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক।

এছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় থাকা মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদাত হোসেনদেরও ‘এ’ দলের সঙ্গে পাঠানো হবে পাকিস্তানে। তবে সাকিবকে নিয়ে কী করা হবে, বুঝতে পারছেন না বিসিবির নীতি নির্ধারকদের অনেকেই। পাকিস্তানে প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২১ আগস্ট।