বাংলাদেশের কোটা আন্দোলন নিয়ে যে মন্তব্য করলেন আর্জেন্টিনার ফুটবল দল


 সারা দেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারে চেয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তপ্ত ছিল পুরো বাংলাদেশ। এই বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এই বিষয়ে রয় দিয়েছে আদালত। যেখানে ৯৩ শতাং রাখা হয়েছে মেধা ৫ শতাংশ রাখা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাকি ২ শতাংশ অনান্য। তবে এই বিষয়টা সারা দেশে তৈরি হয়েছে অনেক বিশৃঙ্খলা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রতাক্ত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে মারপিট। যা নিয়ে সারা দেশে চলছে ব্যাপক আলোচন সমালোচনা।


শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা সব গ্রেডে কোটা সংস্কারের দাবি করছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও বলছেন, কোটা পুরোপুরি বাতিল না করে সময়ের বিবেচনায় সংস্কার করা উচিত। ছাত্রছাত্রীদের বাবা মা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছেন পড়ার জন্য। কিন্তু সেখানে গিয়ে যদি বাবা মার স্বপ্ন লাশ হয়ে বাসায় ফিরে এইটা কারো কাম্য নয়।


বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং নাজমুল হোসেন শান্তর স্ত্রী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন।


দুটি প্রার্থনার ইমোজি দিয়ে মুশফিকের স্ত্রী জান্নাতুল কেফায়েত মিষ্টি লিখেছেন, পাখির মতো মানুষ মারা হচ্ছে, এ কেমন দেশ! আল্লাহ আপনি একমাত্র উত্তম পরিকল্পনাকারী, সাহায্যকারী। সব সন্তানদের তাদের বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিন।


মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের স্ত্রী জান্নাতুল কাওসার মিষ্টি কোটা আন্দোলনের সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহুল ব্যবহৃত হ্যাশট্যাগগুলো পোস্ট করেছেন।


এ ছাড়াও মিরাজের স্ত্রী রাবেয়া প্রীতি একটি ছবি শেয়ার করেছেন। যেখানে চলমান কোটা আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের বাবার একটি মন্তব্য লেখা। যেখানে তিনি আর্তনাদ করে বলেছিলেন, ‘আর কে চাল কিনে দেবে? টিউশনের টাকা না পাঠালে তো বাসায় না খেয়ে থাকতে হতো।’



অন্যদিকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক শান্ত’র স্ত্রী সাবরিনা সুলতানা রত্না একটি ছবি শেয়ার দিয়েছেন। যেখানে লেখা ‘সেভ আওয়ার স্টুডেন্টস।’


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন মাশরাফির স্ত্রী সুমনা হক সুমি।


নিচে মাশরাফির স্ত্রীর স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো—


‘নিজেদের সুবিধাজনক স্থানে থেকে অন্যের জন্য কিছু করে মহান হওয়া মনে হয় খুব কঠিন কিছু না। নিজেরা সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে অন্যের অসুবিধা নিয়ে কথা বলে জনপ্রিয়তা অর্জন করা মনে হয় খুব কঠিন কিছু না। নিজেদের ক্ষতি হবেনা নিশ্চিত থেকে, তারপর অন্যের জন্য কাজ করে সস্তা হাততালি পাওয়াও মনে হয় খুব কঠিন কিছুনা ।


কিন্তু….এসব এর কোনটাতে যদি আপনি না থেকে তারপরও অন্যের জন্য কিছু করে থাকেন, তাহলেইতো আপনি সেই মানুষটা। আর যদি তা না হয় তবে বুঝতে হবে, নেশার ঘোর কেটে গেছে। আসলে আইডল বলে কিছু হয় না, সবটাই ….!



এবার বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলার এনজো ফার্নান্দোজ। তিনি সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমে লিখেছেন, (আমার দোয়া ও চিন্তা বাংলাদেশের জনগণের সাথে যারা সেখানে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন) My prayers and thoughts are with the Bangladesh people who are suffering there.

Comments

Popular posts from this blog

বোর্ড কর্তাদের দাঁড়িয়ে পরিচয়পর্ব, ক্রীড়া উপদেষ্টার আচরণ দেখে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সমর্থক দের, বিসিবি যা বলছে

পাপনের পদ পাওয়ার পরেই সাকিবকে নিয়ে করা আসিফ মাহমুদের পোস্ট ভাইরাল, উল্ট পাল্ট বিসিবি

ভুল বুঝতে পারলো আইসিসি, ১৯.৩ ধারা অনুযায়ী মিলারের ক্যাচটি ছক্কা হয়েছে, ফাইনাল নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত?