কোটা সংস্কার নিয়ে তৌহিদ হৃদয়ের ফেসবুক পোস্টে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ, মুশফিকের নিরবতা কি মৌন সমর্থন? আজ সব থলের বিড়াল বাইরে

 

সংরক্ষণ সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে তরুণ প্রজন্ম উত্তেজিত হয়ে উঠেছে এবং যতই দিন যাচ্ছে ততই এই আন্দোলনের প্রতি জনসমর্থন বাড়ছে। 


গতকাল এই আন্দোলনে প্রাণ হারায় ৬ তাজা মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটাররা শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে শান্তি কামনা করেছেন।

জাতীয় দলের হার্ড-হিটার ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় মঙ্গলবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শুরু করেছিলেন।

তাকে দেখে মুশফিকুর রহিম, শরিফুল ইসলাম ও নুরুল হাসান সোহানের মতো ক্রিকেটাররা একে একে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমর্থন দেন। 


তৌহিদ হৃদয় লেখেন, ‘সবকিছু থেকে দূরে আছি। তাই অনেক কিছুই দেখা হয়নি। আমার প্রাণের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আর রক্তাক্ত না হোক।’

পেসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একজন ক্রিকেটার হলেও আমি একজন ছাত্র। আমি চাই না আর কোনো ছাত্রছাত্রীর রক্ত ঝরুক।’

কোনো কিছু না বললেও অনেকটা নিরবে প্রতিবাদ করেছেন ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছেন। মোনাজাতের ইমুজি দিয়ে প্রার্থনা কামনা করেছেন তিনি। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন মক্কায় গিয়ে তোলা নিজের একটি ছবি। 

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক জেন অস্টিনের একটি বিখ্যাত লাইন– ‘আই ওয়াজ কোয়াইট, বাট আই ওয়াজ নট ব্লাইন্ড’ লিখে ফেসবুকে নিজের ছবিসহ পোস্ট করেন। যার বাংলা করলে দাঁড়ায়– ‘আমি চুপ ছিলাম, কিন্তু অন্ধ নয়!’

ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিচিত মুখ ব্যাটার মুনিম শাহরিয়ার লিখেছেন, ‘যদিও আমার ব্যক্তিগত গাড়ির লুকিং গ্লাস ভাঙ্গা হয়েছে আন্দোলনকারীদের দ্বারা। এর পরেও আমি শান্তি চাই। চাইনা কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরুক। আমি নিজেও একজন শিক্ষার্থী। যৌক্তিক দাবি যৌক্তিক ভাবে নিরসন হোক। আমার ভাইয়েরা বোনেরা সবাই নিরাপদ থাকুক।’ উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান লিখেছেন, ‘ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রক্ত আর দেখতে চাই না, শান্তি চাই।’

আম্পায়ার গাজী সোহেল লিখেছেন, ‘খুব কষ্ট হচ্ছে। হৃদয়ে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছে। মনের মধ্যে স্তব্ধতা গ্রাস করেছে। এমনটি তো হওয়ার কথা ছিল না।’ এই সব কথায় বোঝা যায়, দেশের ক্রিকেটাররা শুধু খেলার মাঠেই নয়, দেশের সংকটময় মুহূর্তে মানুষের পাশে থাকতেও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাদের এই মানবিক আবেদন দেশের মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে এবং তরুণদের আন্দোলনের প্রতি জনসমর্থন আরও বাড়িয়েছে।

Comments