হাথুরুসিংহেকে দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়ার আগে বিসিবির কাছে শেষ যে একটি জিনিস চাইলো

 


বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিদায় এখন শুধু সময়ের ব্যাপার। এই পরিস্থিতির মধ্যে তিনি বিসিবির সাথে আলোচনা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন যে চন্ডিকা হাথুরুসিংহ কি জাতীয় দলের কোচ হিসেবে থাকবেন কিনা, সে সম্পর্কে তার অবস্থান স্পষ্ট নয়। কখনো তিনি কূটনৈতিকভাবে উত্তর দেন, আবার কখনো বলেন যে হাথুরুসিংহের ব্যাপারে তার ব্যক্তিগত মতামত আগের মতোই রয়েছে, অর্থাৎ বিসিবি সভাপতি ব্যক্তিগতভাবে চান না হাথুরুসিংহ বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে থাকুন।


রাওয়ালপিন্ডিতে বসে হাথুরুসিংহ এই নেতিবাচক আলোচনার উত্তাপ উপেক্ষা করার চেষ্টা করছেন। যদিও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, এটি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। বোর্ড চেয়ারম্যানের 'ব্যক্তিগত মতামত' তার বিরুদ্ধে গেলে এবং চেয়ারম্যান নিজে প্রকাশ্যে সেটি জানালে, হাথুরুসিংহের বাকি বার্তাটি বুঝতে কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সিরিজের মাঝপথে থাকায় তিনি অন্তত আগামী চার দিন বিভ্রান্ত হতে চান না। ভিতরে কিছু দুশ্চিন্তা থাকতে পারে, তবে বাইরে থেকে তিনি পুরোপুরি পেশাদার থাকার চেষ্টা করছেন।


খেলোয়াড়দের প্রতি তার বার্তা হল—তিনি থাকছেন নাকি যাচ্ছেন, বিসিবি তাকে নিয়ে কী ভাবছে, ঢাকায় ফিরলে কী হবে—এসব চিন্তায় না পড়ে সবাইকে খেলায় মনোযোগ দিতে হবে। তার প্রত্যাশা, পাকিস্তান যেভাবে সিরিজের পরিকল্পনা করেছে, সবাই তার পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলে সিরিজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মনোযোগী থাকবে। কোচের বার্তার সারমর্ম হল, ‘আমার বিষয় আমি বুঝব, তোমরা তোমাদের কাজ করে যাও।’


এই টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহ স্পষ্ট জানিয়েছেন, বাংলাদেশ দলের সাথে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি আগ্রহী। তিনি বলেন, 'আমি মনে করি নতুন নেতৃত্ব (বিসিবি) ভিন্ন পন্থা নিয়ে আসবে। আমি তার সাথে কথা বলার অপেক্ষায় আছি। আমার কাজ হল দলকে যতটা সম্ভব প্রস্তুত করা। আমরা কয়েক মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করছি। এখন ভিন্ন কিছু করছি না। আমাদের পুরো মনোযোগ পরের ম্যাচে (চলমান দ্বিতীয় টেস্ট)।'


এই সিরিজে হাথুরুসিংহের নাম যুক্ত হলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য যে কোনো বিদেশি কোচ দ্বিধাগ্রস্ত হতে পারেন। তাছাড়া, দল ভালো খেলছে এমন সময়ে হাথুরুসিংহের বিদায় নিয়ে আলোচনা চলছে। তাকে যদি বরখাস্ত করা হয়, তাহলে বোর্ড স্থানীয় কোনো ব্যক্তিকে জরুরি কোচ হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। এর আগে বাংলাদেশের সাথে কাজ করা স্থানীয় এক কোচের নামও আলোচনায় রয়েছে।


জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে স্থানীয় কাউকে নিয়োগের প্রশ্নে বিসিবির মধ্যেও মতবিরোধ রয়েছে। কোচের কাজ শুধু খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেওয়া নয়, তাকে মাঠের ভেতরে ও বাইরে দলের সব দায়িত্ব পালন করতে হয়। বিদেশি সিরিজে, বিশেষ করে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় ইভেন্টে স্থানীয় কোচরা কতটা চাপ সামলাতে পারবেন, সেটি নিয়ে বোর্ডের মধ্যে সংশয় রয়েছে। এছাড়া, কোচিং স্টাফের বাকি সদস্যরা যদি বিদেশি হন এবং প্রধান কোচ স্থানীয় হন, তাহলে তাদের মধ্যে কাজের সমন্বয় কেমন হবে তাও দেখার বিষয়।


Comments

Popular posts from this blog

বোর্ড কর্তাদের দাঁড়িয়ে পরিচয়পর্ব, ক্রীড়া উপদেষ্টার আচরণ দেখে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সমর্থক দের, বিসিবি যা বলছে

পাপনের পদ পাওয়ার পরেই সাকিবকে নিয়ে করা আসিফ মাহমুদের পোস্ট ভাইরাল, উল্ট পাল্ট বিসিবি

ভুল বুঝতে পারলো আইসিসি, ১৯.৩ ধারা অনুযায়ী মিলারের ক্যাচটি ছক্কা হয়েছে, ফাইনাল নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত?