শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে যে দুর্নীতির কথা বললেন বিসিবি সভাপতি

 

২০৩১ সালের আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে, বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন যে অনিয়মের অভিযোগের কারণে স্টেডিয়ামসহ বিসিবির আর্থিক বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে এবং স্টেডিয়াম নির্মাণের টেন্ডার প্রক্রিয়াও বাতিল করা হয়েছে। আজ (শনিবার) ফারুক আহমেদ অন্যান্য বিসিবি কর্মকর্তাদের নিয়ে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের পরিদর্শন করেন।

পূর্বাচলে বিসিবি সভাপতির সঙ্গে ছিলেন পরিচালক খালিদ মাহমুদ সুজন, ইফতিখার রহমান মিঠু, কাজী ইনাম, নতুন পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম এবং বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।

বৃহস্পতিবার বিসিবির প্রথম সভার পর স্টেডিয়ামের দরপত্র বাতিলের কথা জানিয়ে সভাপতি ফারুক বলেন, “দরপত্র বাতিল করা হয়েছে কারণ, এত বড় প্রকল্পের জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন। আমরা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে কোনো স্পষ্ট সাড়া পাইনি। সময়ের অভাবে, আগামীকালই শেষ দিন, তাই আমাদের এটা বাতিল করতে হয়েছে। যদি পরিস্থিতির উন্নতি হয় এবং আমরা মনে করি কিছু পরিবর্তন করে নতুন কিছু করা সম্ভব, তবে আমরা চেষ্টা করব।”

এছাড়া, স্টেডিয়ামের নাম এবং নৌকার আদলে করা নকশাতেও পরিবর্তন করা হবে। বিসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “এই মাঠ পরিদর্শন করার উদ্দেশ্য হলো, যে টাকা খরচ হয়েছে তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা। প্রকল্পটি বড় হওয়ায় পুরো টাকা ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়, তবে আমরা ছোট খাতে যতটুকু খরচ হয়েছে তার কিছু পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করব। উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা মূল নকশা ঠিক করে দুইটি খেলার মাঠ করতে পারি, তাহলে চেষ্টা করব। কনসালটেন্সি ফার্মকে দেয়া অর্থ থেকেও কিছু ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”